পীরগঞ্জে শ্রমিক নিতে এসে একটি চক্র দশ লক্ষ্য টাকা কেড়ে নিয়ে বেধড়ক মারপিটের স্বীকার ।

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বিকাল ৬:১৬ সময়
Share Tweet Pin it
[পীরগঞ্জে শ্রমিক নিতে এসে একটি চক্র দশ লক্ষ্য টাকা কেড়ে নিয়ে বেধড়ক মারপিটের স্বীকার ।]

সরকার বেলায়েত পীরগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধি

রংপুর পীরগঞ্জের মিঠুপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামে শ্রমিক নিতে এসে টাকা ছিনতাই ও লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে ।অভিযোগে জানা যায়,চট্টগ্রামের কর্ণফুলি থানার উত্তরবন্দর এলাকার মৃত মাহমুদ মিয়ার পুত্র তছলিম ও একই এলাকার বজলুর রহমানের পুত্র আতিকুর রহমান এবং আনোয়ারা থানার ছিরাবটতলি এলাকার প্রাইভেট কারের ড্রাইভার সৈয়দ নূর এর পুত্র ওয়াহেদুল ইসলাম ২ লক্ষ্য টাকা নিয়ে আসলে, অভিযুক্তদের ভাষ্য মতে ১০০জন শ্রমিককে জন প্রতি ১০,০০০ /= (দশহাজার) টাকা দেওয়া লাগবে মর্মে তারা আবারও ৮,oo,ooo/=  (আট লক্ষ্য) টাকা শঠিবাড়ি বন্দরের বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টর মাধ্যমে উত্তোলন করে পীরগঞ্জের মিঠিপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ বন্দরে চলে এসে পূর্ব পরিচিত হাসানপুর গ্রামের হবিবর রহমান সরদারের পুত্র জুয়েল সরদার ও একই গ্রামের সুলতান মিয়ার পুত্র সাজু মিয়ার সাথে মিলত হলে তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সুকৌশলে অভিযুক্ত জুয়েল সরদারের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা ১০ লক্ষ্য টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এসময় ভুক্তভোগীদের আত্ম চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে। এমতাবস্থায়, উপায়ান্তর না পেয়ে আত্মরক্ষায় ৯৯৯  এ কল দিলে থানা কতৃপক্ষ  সংশ্লিষ্ট  ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবকে উক্ত ঘটনার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন। চেয়ারম্যান ব্যস্ততার কারনে উক্ত ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আফিরুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠালে সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয় মাদারগঞ্জ বন্দরে নিয়ে আসে।এসময় চেয়ারম্যান মেম্বার এবং সাক্ষীগণ সহ থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তাদের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমিক চিকিৎসা দিয়ে চেয়ারম্যান সাহেব পূনরায় অস্থায়ী ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে এসে রাত্রীযাপনের পরেরদিন তাদেরকে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আশ্বাস দিয়ে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেয়। এ ব্যপারে কয়েকজন গণ মাধ্যমকর্মীরা সরজমিনে তথ্য উদঘাটন করতে গেলে উপরোক্ত ১ ও ২নং অভিযুক্তরা ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে । উল্লেখ্য,সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পরবর্তীতে একাধিক  ইউপি সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা সরেজমিনে গেলে ঘটনাটির সতত্যা নিশ্চিত হয়। এ ব্যাপারে এলাকাবাসি মারপিট ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি সঠিক এবং তারা অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেছেন।